জহিরুল হক বাবু।।
ম্যাটসসহ নিম্নমানের সব মেডিকেল কলেজ বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজসহ বেসরকারি আরও তিনটি মেডিকেল কলেজেই এর প্রভাব পড়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ১৬০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্ম বিরতিতে থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। বিপুল পরিমাণ রোগের চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগন।
বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহারের পাশাপাশি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। ৪৮ ঘন্টায় তাদের দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার কথাও জানান তারা।
এদিকে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির মধ্যে রয়েছে-
বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দেওয়া, ম্যাটসদের নিবন্ধন দেওয়া বন্ধ করা এবং বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।
এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া আর কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।
স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ, চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এবং মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে।
এরই মধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page